তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ |
যাত্রা গানঃ
যাত্রা গানের ইতিহাসে ঝালকাঠির নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। পঞ্চাশের শতকেও পশ্চিম বাংলার তথ্য এ দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মুখে উচ্চারিত হতো নট্ট |
পালাগানঃ
পালাগান লোক সংস্কৃতির আর একটি অন্যতম আকর্ষণ। পোনাবালিয়ার অপরুপ সুন্দরী আয়না বিবি পালাগান গেয়ে বরিশালসহ আশপাশের জেলাগুলোতে |
গুনাই বিবিঃ
গুনাই বিবির পালা একটি সত্য ঘটনাশ্রয়ী। ব্রিটিশ শাসনামলে ঝালকাঠির বর্ধিষ্ণু ও সমৃদ্ধ নবগ্রাম এলাকায় গুনাই ও তোতার প্রেম
পরিনয়ের কাহিনী রচিত হয়। গ্রাম্য কবিয়ালরা হাটে হাটে সুর করে এ কবিতা পড়ে শ্রোতাদের কাছে এ কবিতার বই বিক্রি করতেন।
এ কাহিনী নিয়ে পর্যায়ক্রমে রচিত হয়েছে পালাগান, যাত্রাপালা ও লোকনাট্য। এ কাহিনীর সবগুলোই সংগীত প্রধান। এর মধ্যে
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গোলাম মোস্তফা মাসুমের গুনাই বিবি, ডাঃ চারুচন্দ্র রায়ের আসল গুনাই বিবি ও তোতা মিয়া, এ,কে,এম,
শহীদুল হকের গুনাই বিবি এবং ডঃ বিপ্লব বালার লোকনাট্য গুনাই বিবি। তবে প্রত্যক রচয়িতাই কাহিনীর নাটকীয় মুহুর্তগুলোর জন্য
যে গান ব্যবহার করেছেন তা প্রায় সব একই ধরনের গান ।
গুনাই বিবির সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ
গ্রামের সম্ভ্রান্ত গাজী পরিবারের আদরের সুন্দরী মেয়ে গুনাই বিবি। পিতৃহীন গুনাই বিবি ছিল ভাই রফিকের আদরের নয়নমনি। অন্যদিকে লম্পট ও |
আশমান সিংহঃ
ঝালকাঠি জেলার আরেকটি হ্নদয় বিদারক সতাশ্রয়ী কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে আশমান সিং এর কাহিনী। এ কাহিনী নিয়ে রচিত হয়েছে কবিতা, পুঁথি, |
বিয়ের গানঃ
বাংলা লোক সংস্কৃতির মুল্যবান সম্পদ হয়লাগান বা বিয়ের গান। ঝালকাঠির মত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও হয়লাগান প্রচলিত ছিল। গায়ে হলুদ, কনে |
জারীগান
সমগ্র দক্ষিণ বাংলায় জারীগান অত্যন্ত জনপ্রিয়। জারীগানের পাগল এতদাঞ্চলের মানুষ। জারীগানের কথা শুনলে আবাল বৃদ্ধবনিতা ছুটে চলে জারীগানের আসরে। |
পুঁথি পাঠঃ
বাংলা লোক সাহিত্য সম্পদের অন্যতম পুঁথি সাহিত্য। সাধারণত মুসলমান পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তিরা ঘরে বসে ঘটনাবহুল সাহিত্য রসে সমৃদ্ধ বিভিন্ন ঐতিহাসিক |
ঝালকাঠির নাট্যাঙ্গনঃ
ষাটের দশকে ঝালকাঠির সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সকলের শ্রদ্ধাভাজন শান্তিরঞ্জন পাল প্রতিষ্ঠা করেন ঝালকাঠি শিল্পী সংসদ। তার কুমারপট্টিস্থ বাস ভবনের একটি |
নাট্যগোষ্ঠীঃ
প্রতীক নাট্যগোষ্ঠী ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী নাট্য সংগঠন। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারের সদস্য সৃষ্টিশীল ও সুস্থ সাংস্কৃতিক বিকাশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী । নাটক মঞ্চস্থ করেছে। প্রতীক ঝালকাঠি অঞ্চলের হারিয়ে যাওয়া লোক সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ গ্রাম্য পালাগানগুলোকে সংগ্রহ করে তা লোকনাট্য রুপ দিয়ে |
সত্তর থেকে ৮০ দশক পর্যন্ত যে সকল প্রবীণ শিল্পীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজকের ঝালকাঠির সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং জনপ্রিয়তা পায় |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস