Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে জেলা


সবুজ মাঠ গাছ-গাছালী, নদী-নালা, খাল-বিল, অপার সৌন্দর্য্যমন্ডিত ৭৪৮.৩২ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট পরিপাটি জেলা ঝালকাঠি।  কবি জীবনানন্দ দাশ এর বিখ্যাত কবিতা আবার আসিব ফিরে কবিতার ধানসিঁড়ি নদীটি এ জেলায় অবস্থিত । এ জেলার আছে এক গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস । এ জেলাটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে  অবস্থিত হলে ও এর কিছু  বৈশিষ্ট রয়েছে ।সুগন্দা বিশখালি ধানসিঁড়ির মতো বিখ্যাত নদী  এ জেলায় বুক চিড়ে প্রবাহিত।

অবস্থান :  ঝালকাঠি বিষুব রেখার উত্তরে ২১.৪৮ থেকে ২৩.১৪ অক্ষাংশের মধ্যে এবং গ্রিনিচের পূর্বে  ৮৯.৫৫ থেকে ৯১.৪ দ্রাঘিমায় অবস্থিত। 

সীমানা : ঝালকাঠি জেলার উত্তরে ও পূর্বে বরিশাল জেলা অবস্থিত, দক্ষিনে  বরগুনা জেলা, পূর্বে- পটুয়াখালী জেলা ও পশ্চিমে রয়েছে পিরোজপুর জেলা।

আয়তন : ঝালকাঠি জেলার আয়তন ৭৪৮.৩২ বর্গ কিঃ মিঃ।


প্রশাসনিক কাঠামো (২০২২ সালের শুমারী অনুযায়ী):

ঝালকাঠি জেলায় উপজেলার সংখ্যা ৪টি। উপজেলাগুলো হল- ঝালকাঠি সদর, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঠালিয়া। এ জেলায় রয়েছে ২টি পৌরসভা; যেগুলো ‘ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি’ নামেই পরিচিত। এ জেলায় ৪টি থানা ও ৩২টি ইউনিয়ন রয়েছে। ইউনিয়নগুলোর মধ্যে ১০টি ঝালকাঠি সদর, ০৬টি কাঠালিয়া, ১০টি নলছিটি ও ৬টি রাজাপুরে অবস্থিত। এছাড়া ৪৬৩ টি গ্রাম, ৪২০টি মৌজা, ৩১টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসসহ ৮৯টি হাট-বাজারের সম্মিলন ঘটেছে এ জেলায়।

জনসংখ্যা (২০২২ সালের আদমশুমারী অনুয়ায়ী ):

২০২২ সালের আদমশুমারী অনুসারে ঝালকাঠি জেলায় মোট ৬,৬১,১৬০ জন লোকের বাস; সেখানে পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা যথাক্রমে ৩,১৬,৬২৮ জন ও ৩,৪৪,৫০৩ জন।

শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্যঃ

ঝালকাঠি জেলায় ১৮টি কলেজ, ০৯টি কারিগরি কলেজ, ১৫৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৬টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া এ জেলায় ১২৩টি মাদ্রাসা রয়েছে; যার মধ্যে ১টি কামিল, ১৫টি ফাযিল, ১৩টি আলিম ও ৯৪টি দাখিল মাদ্রাসা।

প্রাথমিক বিদ্যালয়: ঝালকাঠি জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৮৪টি। এছাড়া এ জেলায় ১৬২টি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩টি শিশু কল্যাণ প্রাঃ বিঃ ঝালকাঠি ২২ রয়েছে।

* শিক্ষার হারঃ ২০২২ সালের শিক্ষা জরিপ অনুযাী ঝালকাঠি জেলার ৭ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৮৩.২১%

* সাক্ষরতার হার (৭ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী): পুরুষ - ৮৪.১৫% ; মহিলা - ৮২.৩৫%

* স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যঃ সাধারণ জনগনের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণে ঝালকাঠি জেলায় রয়েছে ০১টি ১০০ শয্যা বিশিষ্ট  ও ০১টি ৩১ শয্যাবিশিষ্ট, ০৫টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ০১টি ডায়াবেটিক সেন্টার এবং ৮৭টি কমিউনিটি    ক্লিনিক।

যাতায়াত ব্যবস্থা : ঝালকাঠি জেলার পাকা, আধাপাক ও কাঁচা রাসত্মার দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৩৯১.৪৩ কিঃ মিঃ ৭৫৭.০৭ কিঃ মিঃ ও ১২৮০.৯৯ কিঃমিঃ।

প্রধান নদী : নদীর সাথে ঝালকাঠি জেলার রয়েছে এক সুনিবিড় মেলবন্ধন। এ জেলার প্রধান নদীগুলো হল- সুগন্ধা, বিষখালী ও ধানসিঁড়ি।

ভূমি সংক্রান্ত তথ্য : ঝালকাঠি জেলার মোট ভূমির পরিমাণ ১,৮৬,৪৩২.১৪ একর। এর মধ্যে ১,৪১,০০৫.৮২ একর কৃষি জমি ও ৪৫,৪২৬.৩২ একর অকৃষি জমি।

শিল্প সংক্রান্ত তথ্য : ঔষধ শিল্প, অটো রাইস মিল, ইট ভাটা, শীতলপাটি, গামছা ও মৃৎ শিল্প ঝালকাঠি জেলাকে শিল্প সমৃদ্ধ জেলায় রূপায়িত করেছে।

ঐতিহাসিক দর্শর্ণীয় স্থান : এ জেলার ঐতিহাসিক দর্শণীয় স্থানগুলোর মধ্যে রাজাপুর সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি, কবি জীবনানন্দ দাশ এর মামা বাড়ি ও কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি উলেস্নখযোগ্য। এছাড়া অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে গাবখান সেতু, ধানসিঁড়ি নদী, রূপসা খাল, গালুয়া পাকা মসজিদ, নেছারাবাদ কমপেস্নক্স, পোনাবালিয়া  মন্দির, সিদ্ধকাঠী জমিদার বাড়ি, নলছিটি পৌর ভবন, চায়না কবর, কামিনী রায়/ যামিনী সেনের বাড়ী ইত্যাদি।